রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোট চুরি করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। ভোট চুরি করলে জনগণ জানে সেই সরকারকে কীভাবে উৎখাত করতে হয়। আমাদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়। আমরা ভোট চুরি করতে যাব কেন? জনগণ স্বতস্ফুর্তভাবে আমাদের ভোট দেয়।
আজ মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি (নির্বাচনে) জিতবে কীভাবে? ২০১৮ নির্বাচনে এক সিটে তিন জন করে নমিনেশন দেয়। এখানে ফখরুল একজনকে নমিনেশন দেয়, রিজভী আরেক দফা দেয়, আর লন্ডন থেকে তারেক দেয় আরও একজনকে। যে যত টাকা পায় সে ততো জনকে নমিনেশন দেয়। সেখানে হলো টাকার খেলা। তারপরে শেষে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে বলে, আমাদের নির্বাচন করতে দিল না।
এ সময় বিএনপির দুজনের নাম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির অন্তত দুই জন নেতা এসে আমার কাছে নালিশ করে গেছেন। সিলেটের এনাম চৌধুরী এসে সোজা বললেন, আমার কাছে টাকা চেয়েছে তারেক জিয়া। আমি দিতে পারিনি, তাই আমার নমিনেশন বাতিল করে যার কাছে টাকা পেয়েছে, তাকে দিয়েছে। আমাদের মোর্শেদ খান, তিনি নিজে এসে বলেছেন, তার কাছে মোটা অংকের টাকা চেয়েছে। তিনি বলেছেন, আমি টাকা দিতে পারবো না। ব্যস, তার নমিনেশ ক্যান্সেল। এই হলো তাদের ২০১৮ সালের নির্বাচন।
দেশের বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের যারা ইন্টালেকচুয়াল, তারা হয়তো ভুলেই গেছেন এই লেখাগুলো লিখতে যে, ওইভাবে নির্বাচন করে জেতা যায় না। এটা হলো বাস্তবতা। সকালে একজনের নাম যায়, দুপুরে আরেকটা নাম যায়, বিকালে আরেকটা নাম যায়… এইভাবেই হলো তাদের ইলেকশন হয়। ফেলো কড়ি, মাখো তেল, অর্থাৎ যে টাকা দেবে সে প্রার্থী। যে দলের এই অবস্থা, তারা গণতন্ত্রের উদ্ধার করবে! যাদের জন্মই হয়নি গণতন্ত্রের মাধ্যমে। জন্মই হয়েছে, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমানের পকেট থেকে।
তবে তারা আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কিছুটা রাজনীতি শিখেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, কিছু রাজনীতি শিখেছে আমাদের সঙ্গে যৌথ আন্দোলন করে। কারণ এরশাদ বিরোধী আন্দোলন যখন করি, ওই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কিছু শিখেছে। এটাই হলো বাস্তব কথা। তা ছাড়া তাদের রাজনীতি কী ছিল?